দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’: আর্থিক স্থিতিশীলতার নতুন পরীক্ষা
ডেস্ক রিপোর্ট
১০-১১-২০২৫ রাত ১২:১৬
দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’: আর্থিক স্থিতিশীলতার নতুন পরীক্ষা
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল ইসলামী ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি নিয়েই আলোচনা চলছিল। অবশেষে সরকার এগুলোর মধ্যে পাঁচটিকে একীভূত করে গঠন করতে যাচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে নতুন ব্যাংকের নামে সম্মতিপত্র (LOI) দিয়েছে, যা দেশীয় ব্যাংকিং খাতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো- এক্সিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক- গত কয়েক বছর ধরে তারল্য সংকট, অনিয়ম ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ নিয়ে সমস্যায় ছিল।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই একীভূতকরণ দুই দিকের প্রভাব ফেলতে পারে- একদিকে এটি ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পেলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
প্রস্তাবিত ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধন ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা- যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারি অর্থ এবং ১৫ হাজার কোটি আমানতকারীদের শেয়ার রূপে। অর্থনীতিবিদরা এটিকে ‘রাষ্ট্রীয় উদ্ধার তহবিল’-এর এক নতুন রূপ বলে উল্লেখ করেছেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর–এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক এই উদ্যোগের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করেছে।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- এই নতুন ব্যাংক কি শুধু সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর দায়ভার সরকারী তহবিলে স্থানান্তর করবে, নাকি এটি বাস্তবেই আর্থিক স্থিতিশীলতার মডেল তৈরি করবে?
সব চোখ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে- চূড়ান্ত লাইসেন্স ইস্যুর পরই বোঝা যাবে, ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ আসলে কতটা সম্মিলিতভাবে টিকে থাকতে পারে।
ডেস্ক রিপোর্ট
১০-১১-২০২৫ রাত ১২:১৬
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল ইসলামী ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি নিয়েই আলোচনা চলছিল। অবশেষে সরকার এগুলোর মধ্যে পাঁচটিকে একীভূত করে গঠন করতে যাচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে নতুন ব্যাংকের নামে সম্মতিপত্র (LOI) দিয়েছে, যা দেশীয় ব্যাংকিং খাতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো- এক্সিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক- গত কয়েক বছর ধরে তারল্য সংকট, অনিয়ম ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ নিয়ে সমস্যায় ছিল।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই একীভূতকরণ দুই দিকের প্রভাব ফেলতে পারে- একদিকে এটি ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পেলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
প্রস্তাবিত ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধন ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা- যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারি অর্থ এবং ১৫ হাজার কোটি আমানতকারীদের শেয়ার রূপে। অর্থনীতিবিদরা এটিকে ‘রাষ্ট্রীয় উদ্ধার তহবিল’-এর এক নতুন রূপ বলে উল্লেখ করেছেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর–এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক এই উদ্যোগের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করেছে।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- এই নতুন ব্যাংক কি শুধু সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর দায়ভার সরকারী তহবিলে স্থানান্তর করবে, নাকি এটি বাস্তবেই আর্থিক স্থিতিশীলতার মডেল তৈরি করবে?
সব চোখ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে- চূড়ান্ত লাইসেন্স ইস্যুর পরই বোঝা যাবে, ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ আসলে কতটা সম্মিলিতভাবে টিকে থাকতে পারে।