সরকারি বেতনভোগীদের ওপর কড়াকড়ি: নির্দিষ্ট সীমা ছাড়ালেই বেতনে কাটবে কর
অর্থনীতি ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১০:৫৩
সরকারি বেতনভোগীদের ওপর কড়াকড়ি: নির্দিষ্ট সীমা ছাড়ালেই বেতনে কাটবে কর
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে এখন থেকে উৎসে আয়কর কাটা হবে—যাদের মাসিক বেতন নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
এই নির্দেশনার ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এতদিন অনেক দপ্তরে উৎসে কর কর্তনের প্রক্রিয়া ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেটি বাধ্যতামূলক করা হলো।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাসিক বেতন ২৬,৭৮৫ টাকা এবং নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ৩০,৩৫৭ টাকা ছাড়ালেই আয়কর আইনের আওতায় পড়বেন তারা। চলতি আয় বছরের হিসাব অনুযায়ী এই সীমা অতিক্রম করলে বেতন বিল প্রস্তুতের সময় সরাসরি উৎসে কর কেটে নেওয়া হবে।
সিজিএ কার্যালয় জানায়, এ কর্তনের দায়িত্ব ট্রেজারি রুলস এসআর ১২৫ অনুযায়ী উত্তোলনকারী কর্মকর্তা বা হিসাব কর্মকর্তার ওপর বর্তাবে। অর্থাৎ, কোনো ভুল বা বিলম্ব ঘটলে সেই কর্মকর্তাকেই দায় নিতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর অংশ হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপ। কারণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি বেতনভোগী শ্রেণির আয়কর আদায় প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি।
এর আগে ৭ অক্টোবর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জারি করা আধা-সরকারি চিঠিতেও উৎসে কর কর্তন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কর প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, তবে মধ্যম আয়ের সরকারি কর্মীদের জন্য মাসিক আয় কমে যাওয়ার বাস্তব চাপও তৈরি করবে।
অর্থনীতি ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১০:৫৩
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে এখন থেকে উৎসে আয়কর কাটা হবে—যাদের মাসিক বেতন নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
এই নির্দেশনার ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এতদিন অনেক দপ্তরে উৎসে কর কর্তনের প্রক্রিয়া ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেটি বাধ্যতামূলক করা হলো।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাসিক বেতন ২৬,৭৮৫ টাকা এবং নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ৩০,৩৫৭ টাকা ছাড়ালেই আয়কর আইনের আওতায় পড়বেন তারা। চলতি আয় বছরের হিসাব অনুযায়ী এই সীমা অতিক্রম করলে বেতন বিল প্রস্তুতের সময় সরাসরি উৎসে কর কেটে নেওয়া হবে।
সিজিএ কার্যালয় জানায়, এ কর্তনের দায়িত্ব ট্রেজারি রুলস এসআর ১২৫ অনুযায়ী উত্তোলনকারী কর্মকর্তা বা হিসাব কর্মকর্তার ওপর বর্তাবে। অর্থাৎ, কোনো ভুল বা বিলম্ব ঘটলে সেই কর্মকর্তাকেই দায় নিতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর অংশ হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপ। কারণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি বেতনভোগী শ্রেণির আয়কর আদায় প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি।
এর আগে ৭ অক্টোবর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জারি করা আধা-সরকারি চিঠিতেও উৎসে কর কর্তন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কর প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, তবে মধ্যম আয়ের সরকারি কর্মীদের জন্য মাসিক আয় কমে যাওয়ার বাস্তব চাপও তৈরি করবে।