সেনা নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি-পাকিস্তানের ২৭তম সংশোধনীতে ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১২:৩০
সেনা নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি-পাকিস্তানের ২৭তম সংশোধনীতে ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
পাকিস্তানের ২৭তম সংবিধান সংশোধনী এখন দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে একদিকে সামরিক কাঠামোতে পুনর্গঠন হচ্ছে, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হচ্ছে আজীবন দায়মুক্তির সাংবিধানিক সুরক্ষা- যা রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিল অনুযায়ী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি) বিলুপ্ত হলে সেনাপ্রধানই পুরো প্রতিরক্ষা কাঠামোর সর্বোচ্চ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে তিন বাহিনী একক কমান্ডের অধীনে আসবে। এতে বেসামরিক সরকারের প্রতিরক্ষা নীতিতে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্টকে আজীবন গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবকে অনেকেই ‘অতিরিক্ত ক্ষমতা সুরক্ষা’ হিসেবে দেখছেন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এটি গণতন্ত্রে দায়বদ্ধতার নীতির পরিপন্থী।
বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই অধিবেশন বর্জন করেছে। সিনেটর আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস বলেছেন, “যারা দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে, তাদের জন্য কোনো সংশোধনী নেই- সবই ক্ষমতাবানদের স্বার্থরক্ষা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন বিচার বিভাগের শক্তি বিকেন্দ্রীকরণের বদলে বরং নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে। আবার সেনা নেতৃত্বের পুনর্গঠন সামরিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বিলটি এখন সিনেটের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনায় গেলেও, পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: দ্য ডন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১২:৩০
পাকিস্তানের ২৭তম সংবিধান সংশোধনী এখন দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে একদিকে সামরিক কাঠামোতে পুনর্গঠন হচ্ছে, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হচ্ছে আজীবন দায়মুক্তির সাংবিধানিক সুরক্ষা- যা রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিল অনুযায়ী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি) বিলুপ্ত হলে সেনাপ্রধানই পুরো প্রতিরক্ষা কাঠামোর সর্বোচ্চ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে তিন বাহিনী একক কমান্ডের অধীনে আসবে। এতে বেসামরিক সরকারের প্রতিরক্ষা নীতিতে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্টকে আজীবন গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবকে অনেকেই ‘অতিরিক্ত ক্ষমতা সুরক্ষা’ হিসেবে দেখছেন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এটি গণতন্ত্রে দায়বদ্ধতার নীতির পরিপন্থী।
বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই অধিবেশন বর্জন করেছে। সিনেটর আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস বলেছেন, “যারা দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে, তাদের জন্য কোনো সংশোধনী নেই- সবই ক্ষমতাবানদের স্বার্থরক্ষা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন বিচার বিভাগের শক্তি বিকেন্দ্রীকরণের বদলে বরং নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে। আবার সেনা নেতৃত্বের পুনর্গঠন সামরিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বিলটি এখন সিনেটের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনায় গেলেও, পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: দ্য ডন