শিরোনামঃ
টঙ্গীতে কাইজেন–৫এস ভিত্তিক মানোন্নয়ন কর্মশালা মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর

পাকিস্তানে ‘এক সেনাপ্রধানের’ যুগ? নতুন সংশোধনীতে ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা

#
news image

পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী ঘিরে এক নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দেশটির সেনাপ্রধান হবেন একক সামরিক কর্তৃত্বের প্রতীক- যা ইতিহাসে প্রথম।

নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)’ গঠনের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান- তিন বাহিনী একক নেতৃত্বে আসবে। এতে বেসামরিক কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কার শুধু কাঠামোগত নয়; এটি সামরিক রাজনীতির দিকেও এক বড় ইঙ্গিত বহন করছে। মানবাধিকার কর্মী শিরিন মাজারি সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি বিমান ও নৌবাহিনীর পদোন্নতি সেনাবাহিনীর হাতে যায়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষোভ সৃষ্টি করবে।’

সবচেয়ে বিতর্কিত ধারা হলো- পাঁচ তারকা অফিসারদের আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়া। এতে ফিল্ড মার্শালসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির মতোই অব্যাহতি সুরক্ষা পাবেন। অনেকেই মনে করছেন, এটি মূলত জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে স্থায়ী বৈধতা দিতে নেওয়া পদক্ষেপ।

সমালোচকরা বলছেন, এই সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের সংবিধান ‘সেনা কর্তৃত্বের দলিল’ হয়ে উঠবে। ইতিহাস বলে, একবার সামরিক ক্ষমতা সংবিধানে ঢুকে গেলে তা আর সহজে বেসামরিক হাতে ফেরে না।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০-১১-২০২৫ রাত ১২:২৬

news image

পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী ঘিরে এক নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দেশটির সেনাপ্রধান হবেন একক সামরিক কর্তৃত্বের প্রতীক- যা ইতিহাসে প্রথম।

নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)’ গঠনের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান- তিন বাহিনী একক নেতৃত্বে আসবে। এতে বেসামরিক কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কার শুধু কাঠামোগত নয়; এটি সামরিক রাজনীতির দিকেও এক বড় ইঙ্গিত বহন করছে। মানবাধিকার কর্মী শিরিন মাজারি সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি বিমান ও নৌবাহিনীর পদোন্নতি সেনাবাহিনীর হাতে যায়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষোভ সৃষ্টি করবে।’

সবচেয়ে বিতর্কিত ধারা হলো- পাঁচ তারকা অফিসারদের আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়া। এতে ফিল্ড মার্শালসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির মতোই অব্যাহতি সুরক্ষা পাবেন। অনেকেই মনে করছেন, এটি মূলত জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে স্থায়ী বৈধতা দিতে নেওয়া পদক্ষেপ।

সমালোচকরা বলছেন, এই সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের সংবিধান ‘সেনা কর্তৃত্বের দলিল’ হয়ে উঠবে। ইতিহাস বলে, একবার সামরিক ক্ষমতা সংবিধানে ঢুকে গেলে তা আর সহজে বেসামরিক হাতে ফেরে না।