শিরোনামঃ
টঙ্গীতে কাইজেন–৫এস ভিত্তিক মানোন্নয়ন কর্মশালা মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর

৫০০ বছর পর রাজা ও পোপের যৌথ প্রার্থনা: ইতিহাসের বিভাজন ঘুচছে কি?

#
news image

ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় লিখলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও পোপ লিও। প্রায় পাঁচ শতাব্দী পর, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তারা ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে একসঙ্গে প্রার্থনা করেন।

১৫৩৪ সালে রাজা হেনরি অষ্টম ইংল্যান্ডকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ রাজা ও পোপ যৌথ প্রার্থনায় অংশ নিলেন।

সেই সময় থেকেই ক্যাথলিক ও অ্যাংলিকান চার্চের মধ্যে শত্রুতা ও বিভাজনের সূচনা হয়। হেনরি অষ্টমের স্ত্রী ক্যাথরিন অব অ্যারাগনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদে পোপের অস্বীকৃতি ছিল এর সূচনা।

রাজা হেনরির উদ্দেশ্য ছিল পুরুষ উত্তরাধিকারী পাওয়া, তবে এর পেছনে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থও জড়িত ছিল। রাজা তখন চার্চের বিশাল সম্পত্তি ও ক্ষমতার ওপর দখল নিতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে রাজা চার্লস পোপের বাঁ পাশে বসেন, বেদির কাছাকাছি। প্রার্থনায় অংশ নেয় সিস্টিন চ্যাপেল ও রাজকীয় কয়ার। অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন পোপ লিও ও অ্যাংলিকান আর্চবিশপ স্টিফেন কট্রেল।

ভ্যাটিকান সফরে থাকা রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলা পরে যান সেন্ট পল আউটসাইড দ্য ওয়ালস বাসিলিকাতে। সেখানে পোপ লিও রাজাকে ‘রয়্যাল কনফ্রাটার’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং রাজাদের জন্য সংরক্ষিত একটি বিশেষ আসন প্রদান করেন। আসনে খোদাই করা লাতিন বাক্য — “Ut unum sint” (যেন তারা এক হয়)।

অন্যদিকে, রাজাও পোপকে দু’টি ব্রিটিশ সম্মান দেন— প্যাপাল কনফ্রাটার অব উইন্ডসর এবং অর্ডার অব দ্য বাথের নাইট গ্র্যান্ড ক্রস।

অ্যাংলিকান প্রতিনিধি বিশপ অ্যান্থনি বল বলেন, “এই সম্মান দুই চার্চের যৌথ ভবিষ্যৎ গঠনের প্রতীক।”

ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানটি শুধু ঐতিহাসিক প্রতীক নয়, বরং ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া অ্যাংলিকান-ক্যাথলিক সংলাপের বাস্তব রূপ।

বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি সদস্যের ক্যাথলিক চার্চ ও ৪৬টি চার্চ নিয়ে গঠিত অ্যাংলিকান কমিউনিয়নের সম্পর্ক এই মুহূর্তে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ।

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের ধর্মতত্ত্ববিদ রেভারেন্ড জেমস হকি মন্তব্য করেছেন,

“এক প্রজন্ম আগেও এমন কিছু কল্পনা করা যেত না। আজকের প্রার্থনা ইতিহাসের পুরোনো ক্ষত মুছে দিয়েছে।”

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪-১০-২০২৫ রাত ১২:৬

news image

ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় লিখলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও পোপ লিও। প্রায় পাঁচ শতাব্দী পর, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তারা ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে একসঙ্গে প্রার্থনা করেন।

১৫৩৪ সালে রাজা হেনরি অষ্টম ইংল্যান্ডকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ রাজা ও পোপ যৌথ প্রার্থনায় অংশ নিলেন।

সেই সময় থেকেই ক্যাথলিক ও অ্যাংলিকান চার্চের মধ্যে শত্রুতা ও বিভাজনের সূচনা হয়। হেনরি অষ্টমের স্ত্রী ক্যাথরিন অব অ্যারাগনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদে পোপের অস্বীকৃতি ছিল এর সূচনা।

রাজা হেনরির উদ্দেশ্য ছিল পুরুষ উত্তরাধিকারী পাওয়া, তবে এর পেছনে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থও জড়িত ছিল। রাজা তখন চার্চের বিশাল সম্পত্তি ও ক্ষমতার ওপর দখল নিতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে রাজা চার্লস পোপের বাঁ পাশে বসেন, বেদির কাছাকাছি। প্রার্থনায় অংশ নেয় সিস্টিন চ্যাপেল ও রাজকীয় কয়ার। অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন পোপ লিও ও অ্যাংলিকান আর্চবিশপ স্টিফেন কট্রেল।

ভ্যাটিকান সফরে থাকা রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলা পরে যান সেন্ট পল আউটসাইড দ্য ওয়ালস বাসিলিকাতে। সেখানে পোপ লিও রাজাকে ‘রয়্যাল কনফ্রাটার’ উপাধিতে ভূষিত করেন এবং রাজাদের জন্য সংরক্ষিত একটি বিশেষ আসন প্রদান করেন। আসনে খোদাই করা লাতিন বাক্য — “Ut unum sint” (যেন তারা এক হয়)।

অন্যদিকে, রাজাও পোপকে দু’টি ব্রিটিশ সম্মান দেন— প্যাপাল কনফ্রাটার অব উইন্ডসর এবং অর্ডার অব দ্য বাথের নাইট গ্র্যান্ড ক্রস।

অ্যাংলিকান প্রতিনিধি বিশপ অ্যান্থনি বল বলেন, “এই সম্মান দুই চার্চের যৌথ ভবিষ্যৎ গঠনের প্রতীক।”

ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানটি শুধু ঐতিহাসিক প্রতীক নয়, বরং ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া অ্যাংলিকান-ক্যাথলিক সংলাপের বাস্তব রূপ।

বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি সদস্যের ক্যাথলিক চার্চ ও ৪৬টি চার্চ নিয়ে গঠিত অ্যাংলিকান কমিউনিয়নের সম্পর্ক এই মুহূর্তে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ।

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের ধর্মতত্ত্ববিদ রেভারেন্ড জেমস হকি মন্তব্য করেছেন,

“এক প্রজন্ম আগেও এমন কিছু কল্পনা করা যেত না। আজকের প্রার্থনা ইতিহাসের পুরোনো ক্ষত মুছে দিয়েছে।”