শিরোনামঃ
টঙ্গীতে কাইজেন–৫এস ভিত্তিক মানোন্নয়ন কর্মশালা মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর

বৈষম্যবিরোধী আইন কি পারে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলতে?

#
news image

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এই বাস্তবতায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন— বৈষম্য কমানো ছাড়া ন্যায়বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার—কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কার নয়, এটি একটি সামাজিক চেতনার পুনর্জাগরণ। এখন সময় এসেছে সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়ার।”

অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই যদি বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে সেটি উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। আইনটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষকে ধর্ম, জাতি বা দর্শনের ভিত্তিতে ভাগ না করা হয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে বৈষম্য শুধু আয় বা সুযোগে নয়— ন্যায়বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনীতিতেও গভীরভাবে প্রোথিত। ফলে একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন শুধু নীতিগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হতে পারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈষম্য কমানো মানেই উন্নয়নের গতিশীলতা বৃদ্ধি। ড. এস আর ওসমানীর ভাষায়, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সমাজের প্রতিটি শ্রেণি পায়, সেই নিশ্চয়তাই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।”

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— কেবল আইন প্রণয়নই কি যথেষ্ট হবে, নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাস্তব প্রয়োগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে এই প্রচেষ্টার সাফল্য?

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮-১১-২০২৫ রাত ১১:৫২

news image

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এই বাস্তবতায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন— বৈষম্য কমানো ছাড়া ন্যায়বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার—কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কার নয়, এটি একটি সামাজিক চেতনার পুনর্জাগরণ। এখন সময় এসেছে সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়ার।”

অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই যদি বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে সেটি উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। আইনটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষকে ধর্ম, জাতি বা দর্শনের ভিত্তিতে ভাগ না করা হয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে বৈষম্য শুধু আয় বা সুযোগে নয়— ন্যায়বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনীতিতেও গভীরভাবে প্রোথিত। ফলে একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন শুধু নীতিগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হতে পারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈষম্য কমানো মানেই উন্নয়নের গতিশীলতা বৃদ্ধি। ড. এস আর ওসমানীর ভাষায়, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সমাজের প্রতিটি শ্রেণি পায়, সেই নিশ্চয়তাই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।”

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— কেবল আইন প্রণয়নই কি যথেষ্ট হবে, নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাস্তব প্রয়োগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে এই প্রচেষ্টার সাফল্য?