বৈষম্যবিরোধী আইন কি পারে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলতে?
নিজস্ব প্রতিবেদক
৮-১১-২০২৫ রাত ১১:৫২
বৈষম্যবিরোধী আইন কি পারে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলতে?
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এই বাস্তবতায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন— বৈষম্য কমানো ছাড়া ন্যায়বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার—কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কার নয়, এটি একটি সামাজিক চেতনার পুনর্জাগরণ। এখন সময় এসেছে সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়ার।”
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই যদি বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে সেটি উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। আইনটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষকে ধর্ম, জাতি বা দর্শনের ভিত্তিতে ভাগ না করা হয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে বৈষম্য শুধু আয় বা সুযোগে নয়— ন্যায়বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনীতিতেও গভীরভাবে প্রোথিত। ফলে একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন শুধু নীতিগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈষম্য কমানো মানেই উন্নয়নের গতিশীলতা বৃদ্ধি। ড. এস আর ওসমানীর ভাষায়, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সমাজের প্রতিটি শ্রেণি পায়, সেই নিশ্চয়তাই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।”
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— কেবল আইন প্রণয়নই কি যথেষ্ট হবে, নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাস্তব প্রয়োগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে এই প্রচেষ্টার সাফল্য?
নিজস্ব প্রতিবেদক
৮-১১-২০২৫ রাত ১১:৫২
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বড় বাধা হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। এই বাস্তবতায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন— বৈষম্য কমানো ছাড়া ন্যায়বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার—কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কার নয়, এটি একটি সামাজিক চেতনার পুনর্জাগরণ। এখন সময় এসেছে সেই চেতনাকে আইনি কাঠামোয় রূপ দেওয়ার।”
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই যদি বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে সেটি উদ্দেশ্য পূরণ করবে না। আইনটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষকে ধর্ম, জাতি বা দর্শনের ভিত্তিতে ভাগ না করা হয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে বৈষম্য শুধু আয় বা সুযোগে নয়— ন্যায়বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনীতিতেও গভীরভাবে প্রোথিত। ফলে একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন শুধু নীতিগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈষম্য কমানো মানেই উন্নয়নের গতিশীলতা বৃদ্ধি। ড. এস আর ওসমানীর ভাষায়, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সমাজের প্রতিটি শ্রেণি পায়, সেই নিশ্চয়তাই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।”
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— কেবল আইন প্রণয়নই কি যথেষ্ট হবে, নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাস্তব প্রয়োগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে এই প্রচেষ্টার সাফল্য?