শিরোনামঃ
টঙ্গীতে কাইজেন–৫এস ভিত্তিক মানোন্নয়ন কর্মশালা মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর

বড়দিনের আনন্দে সম্প্রীতির জয়গান

#
news image

ডা. সাগর খান।।

বাংলাদেশে বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে শুধু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রতিবছর ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপনে দেশের বিভিন্ন গির্জা আলোয় সজ্জিত হয়। সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল (ঢাকা), আর্চবিশপ হাউস (চট্টগ্রাম), ক্যাথলিক মিশন গির্জা (বরিশাল) এবং অন্যান্য গির্জায় প্রার্থনা, সংগীতানুষ্ঠান এবং শিশুদের আনন্দ দিতে শান্তা ক্লজের উপহার বিতরণের মাধ্যমে দিনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

তবে বড়দিন শুধু খ্রিস্টানদের নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ। এ দিনটিতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষও উৎসবের অংশ হয়ে ওঠে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধর্মীয় সহনশীলতা আরও দৃঢ় হয়।

বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু গির্জাগুলো হলেও, এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে শপিং মল, পার্ক, এবং বিনোদনকেন্দ্রেও। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়, উপহার বিনিময় করে, এবং উৎসবের আনন্দে শামিল হয়। শিশুরা শান্তা ক্লজের উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়, যা বড়দিনকে একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করে।

বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি একে অপরের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যকে সম্মান করার মাধ্যমে সম্প্রীতির এক অনন্য চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

বড়দিন যেমন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব, তেমনি দুর্গাপূজা, ঈদ, এবং বৌদ্ধ পূর্ণিমার মতো অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবেও আন্তঃসম্পর্ক ও সহমর্মিতা দেখা যায়। দুর্গাপূজার সময় মুসলিম ও খ্রিস্টান বন্ধুদের পূজা মণ্ডপে ঘুরতে দেখা যায়, ঈদের সময় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবেও এ ধরনের সম্প্রীতি লক্ষণীয়। সব ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেশের ঐতিহ্য এবং শক্তির প্রতীক।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে শুধু আইন নয়, দেশের মানুষের মনের গভীরে সম্প্রীতির শিকড় প্রোথিত। ধর্ম মানুষের পরিচয় দিলেও, বাংলাদেশে তা বিভেদ নয়, বরং বন্ধনের কারণ।

বড়দিনের মতো উৎসবগুলোতে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার উদাহরণ উঠে আসে। উৎসবগুলো পার্থক্য ভুলিয়ে দিয়ে মানবিক সম্পর্ককে অটুট রাখে।

বাংলাদেশের বড়দিন উদযাপন ধর্মীয় সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটালেও, এতে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ একটি সম্প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। বড়দিন শুধু উৎসব নয়, এটি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার প্রতীক।

বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় উৎসবই একে অপরকে ভালোবাসার বার্তা দেয়, যা এই দেশকে বিশ্ব দরবারে সম্প্রীতির মডেল হিসেবে তুলে ধরে।

ডেস্ক রিপোর্ট

২২-১২-২০২৪ রাত ৯:৩৩

news image

ডা. সাগর খান।।

বাংলাদেশে বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে শুধু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রতিবছর ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপনে দেশের বিভিন্ন গির্জা আলোয় সজ্জিত হয়। সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল (ঢাকা), আর্চবিশপ হাউস (চট্টগ্রাম), ক্যাথলিক মিশন গির্জা (বরিশাল) এবং অন্যান্য গির্জায় প্রার্থনা, সংগীতানুষ্ঠান এবং শিশুদের আনন্দ দিতে শান্তা ক্লজের উপহার বিতরণের মাধ্যমে দিনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

তবে বড়দিন শুধু খ্রিস্টানদের নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ। এ দিনটিতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষও উৎসবের অংশ হয়ে ওঠে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধর্মীয় সহনশীলতা আরও দৃঢ় হয়।

বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু গির্জাগুলো হলেও, এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে শপিং মল, পার্ক, এবং বিনোদনকেন্দ্রেও। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়, উপহার বিনিময় করে, এবং উৎসবের আনন্দে শামিল হয়। শিশুরা শান্তা ক্লজের উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়, যা বড়দিনকে একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করে।

বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি একে অপরের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যকে সম্মান করার মাধ্যমে সম্প্রীতির এক অনন্য চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

বড়দিন যেমন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব, তেমনি দুর্গাপূজা, ঈদ, এবং বৌদ্ধ পূর্ণিমার মতো অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবেও আন্তঃসম্পর্ক ও সহমর্মিতা দেখা যায়। দুর্গাপূজার সময় মুসলিম ও খ্রিস্টান বন্ধুদের পূজা মণ্ডপে ঘুরতে দেখা যায়, ঈদের সময় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবেও এ ধরনের সম্প্রীতি লক্ষণীয়। সব ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেশের ঐতিহ্য এবং শক্তির প্রতীক।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে শুধু আইন নয়, দেশের মানুষের মনের গভীরে সম্প্রীতির শিকড় প্রোথিত। ধর্ম মানুষের পরিচয় দিলেও, বাংলাদেশে তা বিভেদ নয়, বরং বন্ধনের কারণ।

বড়দিনের মতো উৎসবগুলোতে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার উদাহরণ উঠে আসে। উৎসবগুলো পার্থক্য ভুলিয়ে দিয়ে মানবিক সম্পর্ককে অটুট রাখে।

বাংলাদেশের বড়দিন উদযাপন ধর্মীয় সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটালেও, এতে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ একটি সম্প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। বড়দিন শুধু উৎসব নয়, এটি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার প্রতীক।

বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় উৎসবই একে অপরকে ভালোবাসার বার্তা দেয়, যা এই দেশকে বিশ্ব দরবারে সম্প্রীতির মডেল হিসেবে তুলে ধরে।