নারীদের জন্য ‘পাঁচ কর্মঘণ্টা’–র প্রতিশ্রুতি, বিতর্কে জামায়াত আমির
রাজনৈতিক ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১০:৫৬
নারীদের জন্য ‘পাঁচ কর্মঘণ্টা’–র প্রতিশ্রুতি, বিতর্কে জামায়াত আমির
নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টায় আনার প্রস্তাব আবারও আলোচনায় এনেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার রাতে রাজধানীর পূর্ব সেনপাড়ায় এক জনসভায় তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য পাঁচ কর্মঘণ্টা বাস্তবায়ন করা হবে, আর ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিকে সরকার তিন ঘণ্টার ভর্তুকি দেবে।”
এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে “নারীবান্ধব উদ্যোগ” বলে আখ্যা দিচ্ছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন—“কাজের সময় কমিয়ে নারীদের পেশাগত অবস্থান কি দুর্বল করা হবে না?”
সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা সমাজে বড় পরিবর্তন চাই। ঘুণে ধরা কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। সমাজের ময়লা পরিষ্কার করাই এখন সময়ের দাবি।”
তিনি আরও বলেন, “নারীরা যদি ঘরে থেকে পরিবারে সময় দেন, রাষ্ট্র তাদেরও সম্মানিত করবে। কারণ পরিবারই সমাজের প্রথম প্রতিষ্ঠান।”
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য মূলত জামায়াতের নীতিগত অবস্থানকে ‘সংস্কারপন্থী রূপে’ উপস্থাপন করার চেষ্টা। তবে এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সভায় ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “যুবকদের অংশগ্রহণ ছাড়া সোনালি সমাজ গড়া সম্ভব নয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে শিশুদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”
নির্বাচন প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “জনগণের টাকায় রাজনীতি করব না। সমস্যার সমাধান দিতে আমরাই যাব মানুষের কাছে।”
রাজনৈতিক ডেস্ক
১০-১১-২০২৫ রাত ১০:৫৬
নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টায় আনার প্রস্তাব আবারও আলোচনায় এনেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার রাতে রাজধানীর পূর্ব সেনপাড়ায় এক জনসভায় তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য পাঁচ কর্মঘণ্টা বাস্তবায়ন করা হবে, আর ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিকে সরকার তিন ঘণ্টার ভর্তুকি দেবে।”
এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে “নারীবান্ধব উদ্যোগ” বলে আখ্যা দিচ্ছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন—“কাজের সময় কমিয়ে নারীদের পেশাগত অবস্থান কি দুর্বল করা হবে না?”
সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা সমাজে বড় পরিবর্তন চাই। ঘুণে ধরা কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। সমাজের ময়লা পরিষ্কার করাই এখন সময়ের দাবি।”
তিনি আরও বলেন, “নারীরা যদি ঘরে থেকে পরিবারে সময় দেন, রাষ্ট্র তাদেরও সম্মানিত করবে। কারণ পরিবারই সমাজের প্রথম প্রতিষ্ঠান।”
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য মূলত জামায়াতের নীতিগত অবস্থানকে ‘সংস্কারপন্থী রূপে’ উপস্থাপন করার চেষ্টা। তবে এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সভায় ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “যুবকদের অংশগ্রহণ ছাড়া সোনালি সমাজ গড়া সম্ভব নয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে শিশুদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”
নির্বাচন প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “জনগণের টাকায় রাজনীতি করব না। সমস্যার সমাধান দিতে আমরাই যাব মানুষের কাছে।”