তিস্তা ব্যারেজ থেকে ধরা দিলো মহিমান্বিত কাঞ্চনজঙ্ঘা
কল্লোল আহমেদ, লালমনিরহাট
৫-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৫
তিস্তা ব্যারেজ থেকে ধরা দিলো মহিমান্বিত কাঞ্চনজঙ্ঘা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ থেকে মেঘমুক্ত স্বচ্ছ আকাশে দেখা মিলছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতের আগমনী বার্তা বয়ে আনা এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে ভোর থেকেই ভিড় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে স্পষ্ট ধরা দেয় বরফে মোড়া চূড়া। উজ্জ্বল সাদা রুপালি আলো যেন ভোরের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে ভিন্ন এক সৌন্দর্য।
টানা কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর গত তিন দিন ধরেই আকাশ পরিষ্কার। এতে আবারও দেখা মিলছে দুর্লভ কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতের শুরুতেই প্রকৃতির এই বিস্ময় প্রত্যক্ষ করতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রতিবছর শীতকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এবারের দৃশ্য আরও স্পষ্ট ও দৃষ্টিনন্দন। তাই উত্তরের পর্যটন এলাকায় বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে। সাদা বরফে ঢাকা পর্বতের মাথা দেখে মনে হচ্ছে স্বপ্নের কোনো দৃশ্য দেখছি। সত্যিই অবিস্মরণীয়।”
প্রকৃতিপ্রেমী নাসিরুল আলম মণ্ডল বলেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীতের সাময়িক সময়েই দেখা যায়। এটি তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ দৃশ্যকে পুঁজি করে তিস্তা ব্যারেজ দ্রুত আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
কোথায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ভূগোলবিদদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের পূর্বদিকের পর্বতমালা—নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত।
এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার (২৮,১৬৯ ফুট)।
এভারেস্ট ও কে-টু’র পর এটিই বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
বাংলাদেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাট ভারতের সীমানার খুব কাছে হওয়ায়, বাতাস পরিষ্কার থাকলে তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায়ই দেখা যায় এই তুষারাবৃত মহাশৃঙ্গ।
প্রতিবছর শীতকালে অল্প কিছুদিন দৃশ্যমান থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে আসেন তিস্তা ব্যারেজে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সরকারিভাবে পরিকল্পনা নিলে এই এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলে সমৃদ্ধ হবে উপজেলার অর্থনীতি।
কল্লোল আহমেদ, লালমনিরহাট
৫-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৫
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ থেকে মেঘমুক্ত স্বচ্ছ আকাশে দেখা মিলছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতের আগমনী বার্তা বয়ে আনা এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে ভোর থেকেই ভিড় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে স্পষ্ট ধরা দেয় বরফে মোড়া চূড়া। উজ্জ্বল সাদা রুপালি আলো যেন ভোরের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে ভিন্ন এক সৌন্দর্য।
টানা কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর গত তিন দিন ধরেই আকাশ পরিষ্কার। এতে আবারও দেখা মিলছে দুর্লভ কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতের শুরুতেই প্রকৃতির এই বিস্ময় প্রত্যক্ষ করতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রতিবছর শীতকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এবারের দৃশ্য আরও স্পষ্ট ও দৃষ্টিনন্দন। তাই উত্তরের পর্যটন এলাকায় বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে। সাদা বরফে ঢাকা পর্বতের মাথা দেখে মনে হচ্ছে স্বপ্নের কোনো দৃশ্য দেখছি। সত্যিই অবিস্মরণীয়।”
প্রকৃতিপ্রেমী নাসিরুল আলম মণ্ডল বলেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীতের সাময়িক সময়েই দেখা যায়। এটি তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ দৃশ্যকে পুঁজি করে তিস্তা ব্যারেজ দ্রুত আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
কোথায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ভূগোলবিদদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের পূর্বদিকের পর্বতমালা—নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত।
এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার (২৮,১৬৯ ফুট)।
এভারেস্ট ও কে-টু’র পর এটিই বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
বাংলাদেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাট ভারতের সীমানার খুব কাছে হওয়ায়, বাতাস পরিষ্কার থাকলে তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায়ই দেখা যায় এই তুষারাবৃত মহাশৃঙ্গ।
প্রতিবছর শীতকালে অল্প কিছুদিন দৃশ্যমান থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে আসেন তিস্তা ব্যারেজে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সরকারিভাবে পরিকল্পনা নিলে এই এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলে সমৃদ্ধ হবে উপজেলার অর্থনীতি।