শিরোনামঃ
জনপ্রিয় দৈনিক বাংলাদেশের খবরের অনলাইনে যোগদান করলেন জামাল উদ্দিন সজিব ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও আইসিএমএবি-এর মধ্যে চুক্তি সই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক আবাসন খাত সংকটে: মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থায় দিশেহারা ব্যবসায়ীরা ক্রিকেট ট্যুরিজমকে ঘিরে পর্যটনকে উন্নত করে দেশের অর্থনীতিতে অবদানই মূল লক্ষ্য -মো. শাখাওয়াত হোসেন লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা আতিথেয়তা আইকন পুরস্কার পেলেন শাখাওয়াত ক্যাম্পাস ভিত্তিক ক্যাম্পেইন ‘মাইক্লো নেক্সট আইকন’ শুরু হেরিটেজ সুইটস-এর শুভ উদ্বোধন: মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে শুরু হলো নতুন যাত্রা চিংড়ি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাতছানি এম কে এ হ্যাচারীর

লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক

#
news image

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৫ সালের লন্ডন বৈঠক নিঃসন্দেহে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই বৈঠক জাতিকে দেখিয়েছে আশার আলো—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি সাহসী ও ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনগণের সরকার গঠনের স্বপ্ন এখান থেকে বাস্তবের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

একটি সময়োপযোগী ঘোষণা, একটি নৈতিক অঙ্গীকার

লন্ডন ঘোষণায় যে তিনটি মূল স্তম্ভ স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে—বিচারব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা—তা দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকেই প্রতিফলিত করে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি নৈতিক অঙ্গীকার; একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা—যে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা হবে দৃঢ়তা ও ন্যায়ের সঙ্গে।

প্রতিক্রিয়া যাদের গাত্রদাহে রূপ নিল

কিন্তু এই ঘোষণার পরপরই একটি পরিচিত গোষ্ঠীর গাত্রদাহ লক্ষ করা গেল—এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামির মতো দলগুলো যেভাবে দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা বিস্ময়ের হলেও আশ্চর্যের নয়। কারণ, এই প্রতিক্রিয়া সেই পুরনো চিত্রকেই আরও একবার স্পষ্ট করেছে—গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি কোনোভাবেই দেশের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারে না।

বিশেষভাবে নজর কাড়ছে সদ্য-গঠিত এনসিপি নামক তথাকথিত ‘সংস্কারপন্থী’ দলটি। গত ৯ মাসে আড়ালে থেকে যারা নানা ধরণের রাজনৈতিক চক্রান্ত চালিয়ে গেছে, আজ তারা মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের বক্তব্য ও অবস্থান এটাই প্রমাণ করে যে, লন্ডনের বৈঠক ছিল কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণাই নয়—বরং তা ছিল গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট প্রতিবাদ, একটি নতুন রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ।

পুরনো ছায়া, নতুন মুখোশ

এনসিপিকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি পুরনো অন্ধকার ছায়া—জামায়াতে ইসলামি। এ গোষ্ঠীর অতীত ইতিহাস দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড ও গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানে পূর্ণ। এখন যদি এনসিপি-জামায়াত একত্রে কোনো রাজনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করানোর চেষ্টা করে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই—তারা কি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়, নাকি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার নতুন ছক আঁকছে?

মূল লক্ষ্য: বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করা?

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে আসছে, সেটিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এনসিপি-জামায়াতের এই আচরণ প্রতীয়মান হচ্ছে। একটি ‘সংস্কারপন্থী’ মুখোশের আড়ালে আসলে এরা একটি অগণতান্ত্রিক জোট গঠনের চেষ্টায় ব্যস্ত। জনগণকে বিভ্রান্ত করে গণতন্ত্রের মূলধারাকে বিচ্যুত করার চেষ্টা চলছে সুপরিকল্পিতভাবে।

জাতি এখন অনেক বেশি সচেতন

তবে আজকের বাংলাদেশ আর আগের মতো নয়। জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব। তারা জানে কী তাদের প্রয়োজন—একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা। যেখানে সরকার জনগণের প্রতিনিধি হবে এবং নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

লন্ডন বৈঠক সেই স্বপ্নপূরণের পথে একটি সাহসী ও সময়োচিত পদক্ষেপ। যারা এই যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা ইতিমধ্যেই ইতিহাসে নিজেদের নাম লিখিয়ে ফেলেছে—গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে।

শেষ কথা:

লন্ডনের ঘোষণা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি চলমান আন্দোলনের গতি এবং দিকনির্দেশনার প্রকাশ। যারা এই ঘোষণার পর গাত্রদাহে ভুগছে, তারা আসলে সেই শক্তি—যারা কখনওই চায়নি এই দেশের মানুষ নিজের অধিকার ফিরে পাক। কিন্তু সময় কাউকে থামায় না। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে, যত বাধাই আসুক—জনগণের আকাঙ্ক্ষার জয় হবেই।

কে এম মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল
রাজনৈতিক বিশ্লেষক

বিশেষ কলাম

১৫-৬-২০২৫ রাত ১২:১

news image

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৫ সালের লন্ডন বৈঠক নিঃসন্দেহে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই বৈঠক জাতিকে দেখিয়েছে আশার আলো—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি সাহসী ও ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনগণের সরকার গঠনের স্বপ্ন এখান থেকে বাস্তবের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

একটি সময়োপযোগী ঘোষণা, একটি নৈতিক অঙ্গীকার

লন্ডন ঘোষণায় যে তিনটি মূল স্তম্ভ স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে—বিচারব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা—তা দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকেই প্রতিফলিত করে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি নৈতিক অঙ্গীকার; একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা—যে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা হবে দৃঢ়তা ও ন্যায়ের সঙ্গে।

প্রতিক্রিয়া যাদের গাত্রদাহে রূপ নিল

কিন্তু এই ঘোষণার পরপরই একটি পরিচিত গোষ্ঠীর গাত্রদাহ লক্ষ করা গেল—এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামির মতো দলগুলো যেভাবে দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা বিস্ময়ের হলেও আশ্চর্যের নয়। কারণ, এই প্রতিক্রিয়া সেই পুরনো চিত্রকেই আরও একবার স্পষ্ট করেছে—গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি কোনোভাবেই দেশের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারে না।

বিশেষভাবে নজর কাড়ছে সদ্য-গঠিত এনসিপি নামক তথাকথিত ‘সংস্কারপন্থী’ দলটি। গত ৯ মাসে আড়ালে থেকে যারা নানা ধরণের রাজনৈতিক চক্রান্ত চালিয়ে গেছে, আজ তারা মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের বক্তব্য ও অবস্থান এটাই প্রমাণ করে যে, লন্ডনের বৈঠক ছিল কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণাই নয়—বরং তা ছিল গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট প্রতিবাদ, একটি নতুন রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ।

পুরনো ছায়া, নতুন মুখোশ

এনসিপিকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি পুরনো অন্ধকার ছায়া—জামায়াতে ইসলামি। এ গোষ্ঠীর অতীত ইতিহাস দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড ও গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানে পূর্ণ। এখন যদি এনসিপি-জামায়াত একত্রে কোনো রাজনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করানোর চেষ্টা করে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই—তারা কি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়, নাকি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার নতুন ছক আঁকছে?

মূল লক্ষ্য: বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করা?

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে আসছে, সেটিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এনসিপি-জামায়াতের এই আচরণ প্রতীয়মান হচ্ছে। একটি ‘সংস্কারপন্থী’ মুখোশের আড়ালে আসলে এরা একটি অগণতান্ত্রিক জোট গঠনের চেষ্টায় ব্যস্ত। জনগণকে বিভ্রান্ত করে গণতন্ত্রের মূলধারাকে বিচ্যুত করার চেষ্টা চলছে সুপরিকল্পিতভাবে।

জাতি এখন অনেক বেশি সচেতন

তবে আজকের বাংলাদেশ আর আগের মতো নয়। জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব। তারা জানে কী তাদের প্রয়োজন—একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা। যেখানে সরকার জনগণের প্রতিনিধি হবে এবং নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

লন্ডন বৈঠক সেই স্বপ্নপূরণের পথে একটি সাহসী ও সময়োচিত পদক্ষেপ। যারা এই যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা ইতিমধ্যেই ইতিহাসে নিজেদের নাম লিখিয়ে ফেলেছে—গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে।

শেষ কথা:

লন্ডনের ঘোষণা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি চলমান আন্দোলনের গতি এবং দিকনির্দেশনার প্রকাশ। যারা এই ঘোষণার পর গাত্রদাহে ভুগছে, তারা আসলে সেই শক্তি—যারা কখনওই চায়নি এই দেশের মানুষ নিজের অধিকার ফিরে পাক। কিন্তু সময় কাউকে থামায় না। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে, যত বাধাই আসুক—জনগণের আকাঙ্ক্ষার জয় হবেই।

কে এম মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল
রাজনৈতিক বিশ্লেষক