শিরোনামঃ
জনপ্রিয় দৈনিক বাংলাদেশের খবরের অনলাইনে যোগদান করলেন জামাল উদ্দিন সজিব ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও আইসিএমএবি-এর মধ্যে চুক্তি সই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক আবাসন খাত সংকটে: মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থায় দিশেহারা ব্যবসায়ীরা ক্রিকেট ট্যুরিজমকে ঘিরে পর্যটনকে উন্নত করে দেশের অর্থনীতিতে অবদানই মূল লক্ষ্য -মো. শাখাওয়াত হোসেন লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা আতিথেয়তা আইকন পুরস্কার পেলেন শাখাওয়াত ক্যাম্পাস ভিত্তিক ক্যাম্পেইন ‘মাইক্লো নেক্সট আইকন’ শুরু হেরিটেজ সুইটস-এর শুভ উদ্বোধন: মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে শুরু হলো নতুন যাত্রা চিংড়ি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাতছানি এম কে এ হ্যাচারীর

গাউসুল আজম মার্কেটে অস্থিরতা সৃস্টির চেষ্টা, ব্যবসায়িদের অভিযোগ

#
news image

রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে অস্থিরতা সৃস্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকেরা। তারা বলছেন, জালাল আহমেদ জসিম নামে এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গাউসুল আজম সুপার মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন নেতা আত্মগোপনে চলে যান। ৯ সেপ্টেম্বর সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাবুল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সভাপতি বরাবর পদত্যাগ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (সংশোধিত, ২০০২ ও ২০০৩) এর ২০ ধারা মোতাবেক আমাকে সম্পাদক পদে ‘‘কো-অপ্ট’’ করা হয়।

কামাল হোসেন বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কারও শরণাপন্ন হইনি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে মার্কেট পরিচালনা করা হলেও একজন ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে গুটিকয়েক লোকজন নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিদ্যুৎ বিল ও হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রেখে অসহযোগিতা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, জালাল আহমেদ জসিম আওয়ামী লীগের শাসনামলে অবৈধভাবে মার্কেটর ছয়টি দোকান দখল করেছিল। বিভিন্ন সময় তিনি দোকানিদের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেন। ছাত্র আন্দোলনের পরপরই তিনি কয়েকটি দোকান জোরপূর্বক তালাবদ্ধ করেন। সে সময় দোকানিরা সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে আটক করেন। অপরাধ না করার শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছাড়িয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। এরপরও জালালের চাঁদাবাজি থামেনি। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় তিনি ও তার দোকানের কিছু কর্মচারী ব্যবসায়ীদের নামে কুৎসা রটায়।

সংবাদ সম্মেলনে গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতা কাজী আশরাফুজ্জামান হাসু, আবুল কালাম, সেলিম আহমেদ, ইসমাইল হোসেন হিরু ও নিতাই সেন বক্তব্য দেন।

এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বছরের ২ অক্টোবর গাউসুল আজম মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করে জালাল আহমেদ জসিমের গ্রেপ্তার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০-১-২০২৫ রাত ১১:৫০

news image

রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে অস্থিরতা সৃস্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকেরা। তারা বলছেন, জালাল আহমেদ জসিম নামে এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গাউসুল আজম সুপার মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন নেতা আত্মগোপনে চলে যান। ৯ সেপ্টেম্বর সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাবুল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সভাপতি বরাবর পদত্যাগ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (সংশোধিত, ২০০২ ও ২০০৩) এর ২০ ধারা মোতাবেক আমাকে সম্পাদক পদে ‘‘কো-অপ্ট’’ করা হয়।

কামাল হোসেন বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কারও শরণাপন্ন হইনি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে মার্কেট পরিচালনা করা হলেও একজন ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে গুটিকয়েক লোকজন নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিদ্যুৎ বিল ও হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রেখে অসহযোগিতা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, জালাল আহমেদ জসিম আওয়ামী লীগের শাসনামলে অবৈধভাবে মার্কেটর ছয়টি দোকান দখল করেছিল। বিভিন্ন সময় তিনি দোকানিদের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেন। ছাত্র আন্দোলনের পরপরই তিনি কয়েকটি দোকান জোরপূর্বক তালাবদ্ধ করেন। সে সময় দোকানিরা সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে আটক করেন। অপরাধ না করার শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছাড়িয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। এরপরও জালালের চাঁদাবাজি থামেনি। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় তিনি ও তার দোকানের কিছু কর্মচারী ব্যবসায়ীদের নামে কুৎসা রটায়।

সংবাদ সম্মেলনে গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতা কাজী আশরাফুজ্জামান হাসু, আবুল কালাম, সেলিম আহমেদ, ইসমাইল হোসেন হিরু ও নিতাই সেন বক্তব্য দেন।

এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বছরের ২ অক্টোবর গাউসুল আজম মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করে জালাল আহমেদ জসিমের গ্রেপ্তার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।