শিরোনামঃ
জনপ্রিয় দৈনিক বাংলাদেশের খবরের অনলাইনে যোগদান করলেন জামাল উদ্দিন সজিব ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও আইসিএমএবি-এর মধ্যে চুক্তি সই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক আবাসন খাত সংকটে: মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থায় দিশেহারা ব্যবসায়ীরা ক্রিকেট ট্যুরিজমকে ঘিরে পর্যটনকে উন্নত করে দেশের অর্থনীতিতে অবদানই মূল লক্ষ্য -মো. শাখাওয়াত হোসেন লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা আতিথেয়তা আইকন পুরস্কার পেলেন শাখাওয়াত ক্যাম্পাস ভিত্তিক ক্যাম্পেইন ‘মাইক্লো নেক্সট আইকন’ শুরু হেরিটেজ সুইটস-এর শুভ উদ্বোধন: মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে শুরু হলো নতুন যাত্রা চিংড়ি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাতছানি এম কে এ হ্যাচারীর

এমডির আশ্বাসে ঘরে ফিরলেন ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা

#
news image

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সঞ্চিয়া বিনতে আলীর আশ্বাসে ঘরে ফিরে গেছেন ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা । রবিবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি সঞ্চিয়া বিনতে আলী বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ১০জন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন। বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা যায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা অফিসারদের পদোন্নতির ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন । মন্ত্রণালয়ে ২৫৪৯ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা এসময় সকল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হলে ভাইভার প্রয়োজনহীনতার দিকে আলোকপাত করেন এবং মন্ত্রণালয় থেকে কোন সদুত্তর আসার আগ পর্যন্ত ভাইভা বন্ধ রাখার আহবান জানান। তাদের এই দাবিতে এমডি মহোদয় আশ্বাস দেন যে এটি সম্ভব হলে তিনি বাস্তবায়ন করবেন ।

এর আগে গত ৩০/১১/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শনিবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডের প্রায় ১২০০ কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ব্যানারে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সকাল ১১.০০ টার সময় তাদের কর্মসূচী আরম্ভের সময় থাকলেও জাতীয়তাবাদী ফোরামের ব্যানারে কৃষি ব্যাংকের সামনে সকাল নয়টা থেকেই অবস্থান নেয় কৃষি ব্যাংকের আরেকটি দল। এসময় তারা এডভোকেট আলিফ হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচী পালন করতে থাকেন। তাদের এই কর্মসূচীর সময় পেরিয়ে গেলেও এবং যথেষ্ট পরিমাণ লোকের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও তারা ১৫-২০ জন লোক নিয়ে কর্মসূচী চালিয়ে যান। এদিকে সকাল ১০.০০ টা থেকেই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালনে উদ্দেশ্যে দেশের প্রায় সকল শাখা থেকে সহস্রাধিক কর্মকর্তারা এসে বলাকার সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন তাদের কর্মসূচী শেষ করার জন্য। কিন্তু অপরপক্ষটি তাদের কর্মসূচী শেষ না করে দীর্ঘায়িত করতে থাকে। বেলা দেড়টায় তারা বলাকার মোড় থেকে কৃষি ব্যাংকের অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করলে তারা কৃষি ব্যাংকের অপর পক্ষটির নিকট বাধার সম্মুখীন হয়। বাধা দেয়ার জন্য তারা লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, হকিস্টিক নিয়ে আসে। কিন্তু সহস্রাধিক কর্মকর্তার নিকট এই বাধা খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ।তবে এই টুকরো সংঘর্ষের ফাকেই ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের কিছু মোবাইল, আইডি কার্ড, মানিব্যাগ এবং সাউন্ড সিস্টেম চুরি হয়।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা দাবি করেন জাতীয়তাবাদের ব্যানারে অপর যেই পক্ষটি কর্মসূচী পালন করছে তারা বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাবাদী পক্ষ। তারা আওয়ামীলীগের সংগঠন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তারা এখন ভোল পালটে জাতীয়তাবাদী ফোরামের ব্যানারে নতুন করে আত্মপরিচয়
প্রকাশ করেছেন ।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা কৃষি ব্যাংকের সামনে তাদের মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু করার একটু পর অপরপক্ষটি আবার ধীরে ধীরে জোটবদ্ধ হওয়া শুরু করেন। তারা মাইকে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের ইসকন, ছাত্রলীগের দোসর এসব নামে অভিহিত করেন। অপরদিকে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা তাদের ঘুষখোর, দালাল এইসব নামে ডাকতে থাকে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানের এক পর্যায়ে অপর পক্ষটি বেলা ৪.০০ টার সময় তাদের কর্মসূচীর ইতি ঘোষণা করে প্রধান কার্যালয় ত্যাগ করেন ।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা সারাদিন অপেক্ষা করেও মাননীয় এমডির দেখা না পেয়ে অল্প কিছু কর্মকর্তা থেকে যান। বাকিরা জরুরী পরিষেবার কথা চিন্তা করে কর্মস্থলে ফিরে যান। পরেরদিন রবিবার সকালে আবারো মানববন্ধন কার্যক্রম শুরু করার পর দুপুর ১.০০ টার দিকে মাননীয় এমডির সঙ্গে ১০জন এর একটি প্রতিনিধি দল দেখা করার সুযোগ পায় । দাবিগুলোর মধ্যে তাদের উপর নির্লজ্জ ও উসকানিমূলক হামলার বিচার, আন্দোলনকারীদের উপর কোন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া এবং অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় সঠিক সময়ে পদোন্নতি এবং ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পর্যন্ত ভাইভা পদ্ধতির বিলোপ চান। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিটির কোন সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ভাইভা স্থগিত করার আহবান জানান। প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে মাননীয় এমডি সফিয়া বিনতে আলী সকল দাবি নোট করেন। তাদেরকে আরও জানান যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সংস্কারের অনেকগুলো পরিকল্পনা তার আছে। ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের দাবিগুলোও বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এমডির আশ্বাসে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা ঘরে ফিরে যান। তবে কোন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে তারা ঘরে বসে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞপ্তি

২-১২-২০২৪ রাত ৯:৫৪

news image

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সঞ্চিয়া বিনতে আলীর আশ্বাসে ঘরে ফিরে গেছেন ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা । রবিবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি সঞ্চিয়া বিনতে আলী বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ১০জন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন। বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা যায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা অফিসারদের পদোন্নতির ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন । মন্ত্রণালয়ে ২৫৪৯ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা এসময় সকল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হলে ভাইভার প্রয়োজনহীনতার দিকে আলোকপাত করেন এবং মন্ত্রণালয় থেকে কোন সদুত্তর আসার আগ পর্যন্ত ভাইভা বন্ধ রাখার আহবান জানান। তাদের এই দাবিতে এমডি মহোদয় আশ্বাস দেন যে এটি সম্ভব হলে তিনি বাস্তবায়ন করবেন ।

এর আগে গত ৩০/১১/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শনিবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডের প্রায় ১২০০ কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের ব্যানারে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন সকাল ১১.০০ টার সময় তাদের কর্মসূচী আরম্ভের সময় থাকলেও জাতীয়তাবাদী ফোরামের ব্যানারে কৃষি ব্যাংকের সামনে সকাল নয়টা থেকেই অবস্থান নেয় কৃষি ব্যাংকের আরেকটি দল। এসময় তারা এডভোকেট আলিফ হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচী পালন করতে থাকেন। তাদের এই কর্মসূচীর সময় পেরিয়ে গেলেও এবং যথেষ্ট পরিমাণ লোকের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও তারা ১৫-২০ জন লোক নিয়ে কর্মসূচী চালিয়ে যান। এদিকে সকাল ১০.০০ টা থেকেই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালনে উদ্দেশ্যে দেশের প্রায় সকল শাখা থেকে সহস্রাধিক কর্মকর্তারা এসে বলাকার সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন তাদের কর্মসূচী শেষ করার জন্য। কিন্তু অপরপক্ষটি তাদের কর্মসূচী শেষ না করে দীর্ঘায়িত করতে থাকে। বেলা দেড়টায় তারা বলাকার মোড় থেকে কৃষি ব্যাংকের অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করলে তারা কৃষি ব্যাংকের অপর পক্ষটির নিকট বাধার সম্মুখীন হয়। বাধা দেয়ার জন্য তারা লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, হকিস্টিক নিয়ে আসে। কিন্তু সহস্রাধিক কর্মকর্তার নিকট এই বাধা খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ।তবে এই টুকরো সংঘর্ষের ফাকেই ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের কিছু মোবাইল, আইডি কার্ড, মানিব্যাগ এবং সাউন্ড সিস্টেম চুরি হয়।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা দাবি করেন জাতীয়তাবাদের ব্যানারে অপর যেই পক্ষটি কর্মসূচী পালন করছে তারা বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাবাদী পক্ষ। তারা আওয়ামীলীগের সংগঠন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তারা এখন ভোল পালটে জাতীয়তাবাদী ফোরামের ব্যানারে নতুন করে আত্মপরিচয়
প্রকাশ করেছেন ।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা কৃষি ব্যাংকের সামনে তাদের মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু করার একটু পর অপরপক্ষটি আবার ধীরে ধীরে জোটবদ্ধ হওয়া শুরু করেন। তারা মাইকে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের ইসকন, ছাত্রলীগের দোসর এসব নামে অভিহিত করেন। অপরদিকে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা তাদের ঘুষখোর, দালাল এইসব নামে ডাকতে থাকে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানের এক পর্যায়ে অপর পক্ষটি বেলা ৪.০০ টার সময় তাদের কর্মসূচীর ইতি ঘোষণা করে প্রধান কার্যালয় ত্যাগ করেন ।

১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা সারাদিন অপেক্ষা করেও মাননীয় এমডির দেখা না পেয়ে অল্প কিছু কর্মকর্তা থেকে যান। বাকিরা জরুরী পরিষেবার কথা চিন্তা করে কর্মস্থলে ফিরে যান। পরেরদিন রবিবার সকালে আবারো মানববন্ধন কার্যক্রম শুরু করার পর দুপুর ১.০০ টার দিকে মাননীয় এমডির সঙ্গে ১০জন এর একটি প্রতিনিধি দল দেখা করার সুযোগ পায় । দাবিগুলোর মধ্যে তাদের উপর নির্লজ্জ ও উসকানিমূলক হামলার বিচার, আন্দোলনকারীদের উপর কোন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া এবং অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় সঠিক সময়ে পদোন্নতি এবং ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পর্যন্ত ভাইভা পদ্ধতির বিলোপ চান। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিটির কোন সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ভাইভা স্থগিত করার আহবান জানান। প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে মাননীয় এমডি সফিয়া বিনতে আলী সকল দাবি নোট করেন। তাদেরকে আরও জানান যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সংস্কারের অনেকগুলো পরিকল্পনা তার আছে। ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের দাবিগুলোও বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এমডির আশ্বাসে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা ঘরে ফিরে যান। তবে কোন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে তারা ঘরে বসে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন।