শিরোনামঃ
টঙ্গীতে কাইজেন–৫এস ভিত্তিক মানোন্নয়ন কর্মশালা মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চায় জামায়াতে ইসলামী

#
news image

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্‌স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে ষষ্ঠদিনের মতো শুনানি হয়। শিশির মনির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন। পরে আগামী বুধবার পরববর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

পাঁচ ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। ওই রুলে আদালতকে সহায়তা করতে (ইন্টারভেনার হিসেবে) গত ২২ অক্টোবর জামায়াতের পক্ষে যুক্ত হন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আর ২৯ অক্টোবর বিএনপির পক্ষে যুক্ত হন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে এবং কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এই কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, এমনকি বিচার বিভাগকেও এক প্রকার ধ্বংস করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মৌলিক ভিত্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এমন একপর্যায়ে চলে গেছে যেখানে নির্বাচন আর নির্বাচন থাকেনি সেটি সিলেকশনে পরিণত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনী বাংলাদেশের মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে নিতে বিশ্বাস করে। সেই উৎসবকে ধ্বংস একটি কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানে এসেছিল সকল রাজনৈতিক দলসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করা সংবিধানকে ধ্বংস করার শামিল।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৫-১১-২০২৪ রাত ১২:৫৯

news image

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্‌স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে ষষ্ঠদিনের মতো শুনানি হয়। শিশির মনির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন। পরে আগামী বুধবার পরববর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

পাঁচ ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। ওই রুলে আদালতকে সহায়তা করতে (ইন্টারভেনার হিসেবে) গত ২২ অক্টোবর জামায়াতের পক্ষে যুক্ত হন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আর ২৯ অক্টোবর বিএনপির পক্ষে যুক্ত হন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে এবং কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এই কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, এমনকি বিচার বিভাগকেও এক প্রকার ধ্বংস করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মৌলিক ভিত্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এমন একপর্যায়ে চলে গেছে যেখানে নির্বাচন আর নির্বাচন থাকেনি সেটি সিলেকশনে পরিণত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনী বাংলাদেশের মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে নিতে বিশ্বাস করে। সেই উৎসবকে ধ্বংস একটি কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানে এসেছিল সকল রাজনৈতিক দলসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করা সংবিধানকে ধ্বংস করার শামিল।